রাজশাহীতে তাপমাত্রা কমছে ক্রমশ, বাড়ছে শীত। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারও (৩১ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল ৭টায় রাজশাহীতেসর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর মানে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ক্রমশ কমতে শুরু করায় রাজশাহীসহ আশপাশের অঞ্চলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সোমবার ভোর ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৭৫ শতাংশ।
এদিকে, রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান বলছে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও ২১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তবে, ২২ ডিসেম্বর আবারও সেই তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর ২৩ ডিসেম্বর আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। ২৪ ডিসেম্বর রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২৬ ডিসেম্বর ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি, ২৭ ডিসেম্বর ১১ দশমকি ৮ ডিগ্রি, ২৮ ডিসেম্বর ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২৯ ডিসেম্বর ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সোমবার ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই ওঠানামা করছে।
এদিকে, প্রতিদিন তাপমাত্রা কমায় রাজশাহীতে কমছে না শীতের তীব্রতা। মঙ্গলবার সকালে আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়া গেছে, কিন্তু কমেনি শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে কাঁপছে ছিন্নমূল মানুষ। রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে গরিব শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।
তিনি বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে শীতার্ত মানুষ এ শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে নিদারণ দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।