বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত। ঢাকা মহানগরের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাইসারুল ইসলাম আজ সোমবার আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল আজ। ইতিমধ্যেই এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলির জন্য আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির একজন গতকাল রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই আসামির নাম মোর্শেদ অর্মত্য ইসলাম। আদালত ৫ জানুয়ারি বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার চার পলাতক আসামির নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচারের নির্দেশ দেন। সেদিন পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। তাদের নিজেদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নেই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। একই সঙ্গে সেদিন তাঁদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির আদেশ দেওয়া হয়।
এখন এই মামলায় পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গত ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।