প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির দায়ে ৬৩ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জালিয়াতির ঘটনায় এ নিয়ে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৮ জনে।
এরআগে গত বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত ১৫ জনকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করেছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ। বাকিদের কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আরো ৬৩ জনকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির দায়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুন নামে দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে এটিএম কার্ডের মতো দেখতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি।