বাঙালির কাছে মাছ-ভাত যেমন, জাপানিদের কাছে সুশিও ঠিক তেমনই একটি খাবার। সুশি তৈরি হয় কাঁচা মাছ আর ভাত দিয়ে। সুশি যে কেবল জাপানিদের প্রিয় খাবার তাই নয়, গোটা বিশ্বজুড়েই চাহিদা রয়েছে এর।
সুশি বেশ আগে থেকেই বিক্রি হয় ঢাকায়। ৫শ থেকে মোটামুটি হাজার টাকা বাজেট করলেই খাওয়া যায় এ খাবার। কিন্তু জাপানের এক রেস্তোরাঁ এই সুশিই বিক্রি করছে সাড়ে তিন লাখ জাপানি ইয়েনে।
পৃথিবীতে কোথাও এর আগে এত দামে বিক্রি হয়নি সুশি। রেস্তোরাঁটির নাম সুশি কিরিমন। জাপানের ওসাকার ওই রেস্তরাঁর তৈরি এক প্লেট সুশি খেতে হলে দিতে হবে আড়াই লাখ টাকা। তবে সে সুশি খেলে নাকি সুশি খাওয়ার অভিজ্ঞতা সু-স্বাদের শিখর ছোঁবে। একটি আয়তাকার থালায় ২০ রকম দেখতে এবং ২০টি আলাদা আলাদা স্বাদের সুশি সাজিয়ে দেওয়া হয় ওই রেস্তরাঁয়।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দামি সুশি বানানোর কৃতিত্ব ছিল শেফ অ্যাঞ্জেলিতো আরানেটা জুনিয়রের। তার তৈরি সুশির প্লেটের দাম ছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি।
জাপানে আড়াই লাখ টাকা খরচ করে সুশি খাওয়া আর বাংলাদেশে আড়াই লাখ টাকা খরচ করে মাছ-ভাত খাওয়ার মধ্যে খুব বেশি কিছু পার্থক্য আছে কি? কারণ নিজ নিজ এলাকায় এসব খাবারই মানুষের প্রধান খাবার।