‘সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে শিশুর মতো কেঁদেছিলেন বঙ্গবন্ধু’

শেখ শহীদুল ইসলাম। বর্তমানে জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৪৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম তার। পিতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী শেখ মো. মুসা এবং মা জেন্নাতুন নেছা। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা তার খালা। তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকারের যুব ও ক্রীড়া, পাট, গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন এবং শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৬২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে ১১ দফা, গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার আদর-স্নেহে জীবনের একটা সময় পার করছেন। সেই স্মৃতিগুলো ঢাকা পোস্টের কাছে তুলে ধরেছেন।

শেখ শহীদুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৬২ সাল থেকে আমার ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ শিক্ষাঙ্গনের মাধ্যমে। আমি বঙ্গবন্ধুর পদপ্রান্তে বসেই রাজনীতি শিখেছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যেটা শিক্ষা দিতেন সেটা হলো, দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, বিশেষ করে গরিব মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আপসহীনভাবে থাকতে হবে। শোষণকারীদের কাছে আপস করা যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ায় ছিল। আমরা পাশাপাশি বাড়িতে থাকতাম। একই পরিবারের আমরা মানুষ হয়েছি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হন। তখন বঙ্গবন্ধুর পরিবার ঢাকায় চলে আসে। পাকিস্তান সরকার এ কেবিনেট ভেঙে দেয়। তখন বঙ্গবন্ধু পুরান ঢাকার ৭৯ নম্বর নাজিরা বাজার বাসায় উঠেন। এই বাসার মালিক ছিলেন মো. হানিফ। পরবর্তীতে তার পরিবারও আওয়ামী লীগ করছে। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু আবার মন্ত্রী হন। তখন তিনি ১৫ নম্বর আব্দুল গনি রোডের বাসায় থাকতেন। বঙ্গবন্ধু একমাত্র ব্যক্তি, যিনি দলের জন্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে পদত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। এ সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাকে পাকিস্তান ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেন। বঙ্গবন্ধু তখন ১১৫ নম্বর সেগুনবাগিচার বাসায় থাকতে শুরু করেন। এ বাসা থাকার সময় আইয়ুব খান সমন জারি করে এবং শেষমেশ এ বাসাও ছেড়ে দিতে হয়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, বঙ্গবন্ধু কারাগারে চলে যান। বঙ্গবন্ধু পরিবার তখন ও কয়েকটি বাসায় থাকার চেষ্টা করেন, অনেকে তখন বাসা ভাড়াও দিতে চায়নি। ৫৮ সালের শেষের দিকে সেগুনবাগিচায় একটি দোতলা বাড়িতে ওঠেন। এ বাসা থেকে ১৯৬১ সালের অক্টোবর মাসে ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বসবাস করতে থাকেন। তখন মাত্র তিনটা রুম হয়েছিল।

শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ১৯৬২ সালে আমার মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পরে ঢাকায় চলে আসি। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ছিলেন আমার খালা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা এবং বঙ্গবন্ধু আমাকে ওই বাসায় থাকতে বলেন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমি ওই বাসায় ছিলাম। বাসাটি ছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে। আমি ঢাকায় এসে ঢাকা কলেজে ভর্তি হলাম। ওই বাসা থেকে আমি লেখাপড়া করেছি। ১৯৭৫ সালের ১ আগস্ট আব্বার বাসার চলে যাই। আমার আব্বার বাসা ছিল ২ বি, গ্রিন রোডে। কারণ ৩ আগস্ট ছিল আমার বিয়ে, ৬ তারিখ ছিল ওয়ালিমা। এজন্য আমি বাসা পরিবর্তন করে বাবার বাসায় চলে গিয়েছিলাম।

ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা তৈরির ইতিহাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর প্লটের জন্য যখন তার প্রাইভেট সেক্রেটারি বলেছিলেন,বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি ঢাকায় কোনো বাসায় যাব না। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রাইভেট সেক্রেটারি বেগম মুজিবের কাছে যান। তখন বেগম মুজিব বলেছিলেন, আমাদের একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই দরকার। প্লটের এর জন্য বেগম মুজিব আবেদন করেছিলে। এখানে একটা প্লট পান। ১৯৫৯ সালে বঙ্গবন্ধুর কারাগার থেকে বের হয়ে ওই বাসার কাজ শুরু করেন। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ওই বাসায় তিনটি রুমে থাকা শুরু করেন। বাসার তিন রুমের মধ্যে একটা রুম ড্রয়িং-ডাইনিং ছিল। সে ড্রয়িং রুমে আমি আর শেখ কামাল মাঝখানে একটা পার্টিশন দিয়ে, একপাশে খাবারের ব্যবস্থা আরেক পাশে আমি আর কামাল থাকতাম। পরে আস্তে আস্তে এই বাসার নিচতলার কাজ সমাপ্ত হয়। ১৯৬৯ সালে দোতলার কাজ শুরু করেন। কারণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চাপ বেড়ে গিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির জন্য নিচতলাটা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধুর তিন সন্তানের জন্ম টুঙ্গিপাড়ায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা, শেখ কামাল ও শেখ জামালের জন্ম টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ রেহানার জন্ম ঢাকার নাজিরা বাজারের বাসায়। আর শেখ রাসেলের জন্ম ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসায়। বঙ্গবন্ধুর পরিবার অত্যন্ত সহজ সরল জীবনযাত্রায় বিশ্বাসী ছিল। সাধারণ বাঙালির পরিবার যে রকম থাকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সে রকম ছিল। বঙ্গবন্ধুর বাগানের শখ ছিল।

বঙ্গবন্ধুর তিনটা শখের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে বাগান করা। দ্বিতীয় শখ ছিল বই পড়া। তৃতীয় শখ ছিল গান শোনা। অবসর সময় তিনি গান শুনতেন। বিশেষ করে রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি একটা টান ছিল। বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটা বিরাট অংশ কেটেছে কারাগারে। তিনি যখন কারাগার ছিলেন তখন এই পরিবারের সকল দায়িত্ব পালন করতেন আমার খালা। তিনি বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে ভেতরে উৎসাহিত করতেন, অনুপ্রাণিত করতেন, কোনোদিন অভাব অভিযোগের কথা তুলতেন না। বঙ্গমাতা পরিবার-পরিজন সামলাতেন, দলও সামলাতেন। বঙ্গবন্ধুকে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো, সেগুলো মোকাবিলা করতেন। বঙ্গবন্ধুকে যেহেতু পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা ঘামাতে হত না, সে কারণে তিনি এই ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে, রাজনীতিবিদের পক্ষে ওইভাবে কারাগারে গিয়ে সময় কাটানো এটা মুশকিল হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা ছিলেন ভিন্ন, আর ছেলে মেয়েরাও তাদের পিতাকে শুধু পিতা মনে করতেন না, মনে করতেন দেশের সম্পদ।

শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি ৬৬ সাল থেকে দেখি, তিনি ছয় দফা দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে নিজেকে সাধারণ রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্রনায়কে উন্নতি করলেন। ছয় দফা তিনি এমনভাবে তৈরি করেছিলেন, ছয় দফার পক্ষে জনমত এমনভাবে তৈরি হয়েছিল যে, উনি এক মাসে ৩৩টা জনসভা করেছিলেন। প্রতিটি জনসভায় বিপুল জনসংখ্যা হয়। সর্বশেষ জনসভা করেছিলেন নারায়ণগঞ্জে, সেই জনসভা থেকে আসার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছয় দফাকে তিনি এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যে, ছয় দফার মধ্যে দিয়ে মানুষ একটা নতুন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেরণা খুঁজে পায়। আমাদের রাজনীতি অঙ্গনের স্লোগান পরিবর্তন হয়ে যায়। জাতীয়তাবাদের আন্দোলনকে তিনি একটা ভিন্ন স্তরে নিয়ে যান। যেটাই ১৯৬৯ গণ-অভ্যুত্থানের রূপ নেয়। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আগরতলা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জাতির পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়। তোফায়েল আহমেদ ২৩ ফেব্রুয়ারি এ উপাধি দেন। বঙ্গবন্ধুর৭০ সালের নির্বাচনে যে জয়, এটা ছিল অভূতপূর্ব। একটা প্রদেশের দুইটি আসন ছাড়া সবগুলো আসনে জয়লাভ করা পাকিস্তানের শাসকরাও চিন্তা করতে পারেনি। এই নির্বাচন বঙ্গবন্ধুকে একচ্ছত্র নেতা হিসেবে পরিচিত করে।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, সর্বক্ষেত্রে আমরা যেটা দেখতে পাই যে, বিশাল হৃদয় এবং মহানুভব মানুষ। এটা আমার মনে হয়, সমসাময়িক রাজনীতিতে তুলনাহীন। জনগণ, নেতা এবং কর্মীদের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল। আজকে তিনি নেই কিন্তু তার আদর্শ দ্বারা জাতিকে তিনি কবরে শুয়েই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

শেখ শহীদুল ইসলামের জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার জীবনের প্রথম যে ঘড়ি সেটি আমি মেট্রিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু সুইজারল্যান্ড থেকে আমার জন্য নিয়ে আসেন। যারা ভালো ছাত্র তাদের তিনি খুব স্নেহ করতেন। আমি তার স্নেহ পেয়েছি অকৃত্রিম। হাসিনা আপার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর, আমার ২৯ সেপ্টেম্বর। ১৯৭০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হাসিনা আপনাকে ৫০০ টাকা দিলে ২৯ সেপ্টেম্বর আমাকেও ৫০০ টাকা দিতেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে। খালু ও খালাম্মা যখন বিদেশে যেতেন কামালের জন্য যে ধরনের জামা কিনতেন, আমার জন্য সে জামা কিনতেন। এই স্নেহের কোনো শেষ নেই।

তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, ৬৮ সালে আমি কারাগারে যাই। আমি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। ষড়যন্ত্র বিরোধী আন্দোলন করি। বঙ্গবন্ধু জানতে পারলেন যে,আমি গ্রেপ্তার হয়ে গেছি। আমাদের পরিবারের আরেকজন কারাগারে ছিলেন, তিনি হলেন-শেখ ফজলুর হক মনি। তখন বঙ্গমাতার মাধ্যমে তিনি খবর দিলেন, আমাকে যদি মুচলেকার অফার করে, আমি যেন মুচলেকার দিয়ে বের হয়ে যাই। আমি (বঙ্গবন্ধু) জেলা খাটি, তার (শেখ শহীদুল ইসলাম) দরকার নাই জেল খাটার। তবে আমি মুচলেকা দিইনি।

শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাসায় থাকলে বলতেন রাতের খাবার আমরা সবাই একসঙ্গে খাব। আমরা সাধারণ ভাত, ডাল, মাছ খেতাম। বড়জোর একটু মুরগি বা গরুর মাংস। বিলাসিতার কোনো জীবন ছিল না। দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একসাথে খেতাম, এটাও একটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

বঙ্গবন্ধুর বিশেষ পছন্দের খাবার সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি কিছু কিছু ভর্তা পছন্দ করতেন। কালোজিরার ভর্তা তিনি পছন্দ করতেন। ডুমুর, নারিকেলের আর মুরগির চামড়া বা শুঁটকি মাছ দিয়ে মুগ ডাল রান্না পছন্দ করতেন। আলু ভর্তা এবং ঘন ডাল তিনি পছন্দ করতেন। বেতের আগার শাস, যেটাকে আমরা বেতান বলি, এটাও তিনি পছন্দ করতেন। এগুলো স্পেশাল, তবে তিনি সবকিছুই খেতেন। উনার একটা ট্র্যাডিশনাল পাইপ এবং তামাক ছিল। পাইপের ক্ষেত্রে তিনি অধিকাংশ সময়ই এরিনমোর ফ্লেক ব্যবহার করতেন।

জেল থেকে বের হলেও উৎসব করার কোন পরিবেশ পায় তার পরিবার। কারণ তিনি জেল থেকে বের হয়েই আবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তেন।  তিনি অবসর সময় পার করেননি, সবসময় দেশের কাজের জন্য জীবন ব্যয় করছেন।

আরেকটি স্মৃতিচারণ করে শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমি মওলানা ভাসানীর বাড়িতে যেতাম। তিনি মওলানা ভাসানীর জন্য সবসময় ঈদের আগে কাপড় পাঠাতেন। একবার আমাকে দিয়ে ওনার বাসায় কাপড় পাঠালেন। আমি বঙ্গবন্ধুর গিফট নিয়ে গেলাম, তিনি দেখে খুশি হলেন। তখন ওনার (মওলানা ভাসানীর) দলে সেক্রেটারি জাফর আহমেদও ঈদের গিফট নিয়ে আসেন। কাজী জাফর আহমেদকে বললেন, ‘তুমিও ঈদের কাপড় চোপড় নিয়ে আসছো, তোমার কাপড় পরে তো আমার ঈদ করা হবে না। যারটা পরে সারা জীবন ঈদ করেছি তারটাই পরতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা পারিবারের সদস্যরা এক সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতাম। সেদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে আসলেন। এমন সময় একটা ফোন আসে। তিনি দৌড়ে গিয়ে ফোনটি ধরেই কান্না করতে লাগলেন। শিশুরা যেভাবে কান্নাকাটি করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু সেভাবে কান্না করতে লাগলেন। পাকিস্তানে সোহরাওয়ার্দীকে দাফন করার কথা শুনে বলেছিলেন, সোহরাওয়ার্দী এ বাংলার, তার লাশ বাংলায় আনতে হবে। তার কথার পরিপ্রেক্ষিতেই সোহরাওয়ার্দী লাশ বাংলায় দাফন করা হয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (রাত ৯:১১)
  • ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
  • ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com