জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমপি ইব্রাহিম বলেন, ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে খুনি রশিদ ও ফারুক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করে। খুনিরা সেদিন ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ জিয়াউর রহমানকে বলেছিল, আমরা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই। খুনি রশিদ, ফারুক সেদিন রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও জিয়া মার্শাল ল-এ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি আরও বলেন, খুনি রশিদ, ফারুককে আটক বা গ্রেপ্তার করার কোনো চেষ্টা করেননি জিয়াউর রহমান। মার্চ থেকে আগস্ট, এই দীর্ঘ সময়ে জিয়া তাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, রাষ্ট্রপতি অথবা সরকারের কাছে তথ্য দেননি। বরং তিনি সেই সকল খুনিদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এতেই বুঝা যায় সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল।
আগামী নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এমপি ইব্রাহিম বলেন, নৌকা হলো আমাদের প্রধান পরিচয়। নৌকা প্রতীক দেওয়ার মালিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকা যাকে দেবে আমরা তার জন্যই কাজ করবো। নৌকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের কারও নেই। আমরা আগামী নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে সবাই কাজ করবো।সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মমিনুল ইসলাম বাকের, সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ভিপি মাহফুজুর রহমান বাহার, সোনাইমুড়ী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
