ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করবে সূর্যমুখীর বীজ

সূর্যমুখী ফুলের উৎপত্তি আমেরিকায়। আদিকালে এই ফুলের চাষ করে থেকে রান্নার তেল বের করা হত। খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিডসহ বিভিন্ন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ এই বীজ।

বিভিন্ন দানাশস্যে এবং মিষ্টি তৈরিতেও বিশেষ করে যারা দুগ্ধজাত ও বাদামের মাখন খেতে পারেন না, তারা সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি মাখন খেতে পারেন।

এতে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন সি, ই আছে। এছাড়াও আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ শরীরের হাড় থেকে শুরু করে টিস্যুর সুসংগঠনে কাজ করে এই বীজ।

শরীরে কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি কমাতে এই বীজ খুব কার্যকরি। লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল ধমনীতে জমা হয়ে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সূর্যমুখীর বীজে আছে লিনোলেইক অ্যাসিড যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলডিএলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এতে আছে ওলেইক অ্যাসিড যা ট্রাইগ্লিসারাইড যা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

সূর্যমুখীর বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম এবং এতে আছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা ব্লাড সুগার কম করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

অনেক সময়ে সংক্রমণ বা ক্ষত থেকে শরীর ফুলে যেতে পারে। কিন্তু সেটা সাময়িক এবং নিরাময়যোগ্য। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে হাত, পা ফুলতে থাকলে সেটা কিডনি, ফুসফুস ইত্যাদিকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও এই সমস্যা ডিএনএ-কে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং ক্যানসার কোষ তৈরি করতে পারে।

সূর্যমুখীর বীজে আছে ভিটামিন ই এবং ফেনোলিক যৌগ বা ফ্ল্যাভানয়েডস। এই দুইটি উপাদানেই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা হাত, পা ফোলা কমায়। বীজে উপস্থিত লিনোলেইক অ্যাসিড ক্ষত দ্রুত নিরাময় হতে সাহায্য করে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • রবিবার (রাত ১১:৪৯)
  • ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com