মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই মামলায় গ্রেপ্তার অপর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া দুজন হলেন- ডা. লুইস সৌরভ সরকার ও শর্মিষ্ঠা মণ্ডল। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ডা. মো. ইউনুসজ্জামান খান তারিম, ডা. মুসতাহিন হাসান লামিয়া ও ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা।
সোমবার (২১ আগস্ট) পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে আসামি লুইস সৌরভ ও শর্মিষ্ঠা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত দেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত আসামি লুইস সৌরভের এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত আসামি শর্মিষ্ঠার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তে তাদের নাম আসায় গ্রেপ্তার করে সিআইডি।