‘রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’— এই শ্লোগানে আয়োজিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে ১০৭টি অভিযোগে মুখোমুখি হয়েছিল সরকারি ৩৮ দপ্তর।
বুধবার (২৩ আগস্ট) মাদারীপুরে আয়োজিত গণশুনানিতে মাদারীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, পাসপোর্ট, বি.আর.টি.এ., সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, সমাজসেবা অফিস, নির্বাচন অফিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভাসহ মোট ৩৮টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১০৭টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যার মধ্যে ৩৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সেবাপ্রার্থী জনসাধারণ সরাসরি উপস্থাপন করেন। যেখান থেকে তিনটি অভিযোগ অনুসন্ধান করার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে।
গণশুনানির প্রধান অতিথি সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে কেউ বাচঁতে পারবে না, জনসচেতনতাই রুখবে দুর্নীতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকারি পরিষেবা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এ গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন, দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মাদারীপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা হাওলাদার ও মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই এ গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য। মাদারীপুরের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ এ গণশুনানিতে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তাদের অভিযোগ দুদক কর্মকর্তারা শুনেছেন এবং কিছু অভিযোগের সমাধান করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।