নেটের অনেকেই নিয়মিত ই-বুক পড়েন। তবে অনেক বই-প্রেমী আছেন, যারা হাতে বই নিয়ে পড়তেই বেশি পছন্দ করেন। তাদের জন্য সারাদিনে একবার সময় করে বই না পড়লে দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তেমন মানুষের বাসায় সাজানো থাকে থরে থরে বই। বই পড়তে ভালবাসা আর তার যত্ন নেওয়া এক বিষয় নয়।
পড়তে ভালবাসলেও, বই সংরক্ষণ করতে পারেন না অনেকে। ফলে যত্নের অভাবে অনেকের বই নষ্ট হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে বইয়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই শখের বইগুলো দীর্ঘ দিন ঠিক থাকবে।
এখন নানা রকমের বইয়ের তাক কিনতে পাওয়া যায়। বইয়ের যত্নের জন্য সহজেই পরিষ্কার করা যায় এমন একটি তাক দরকার। ভালো হয় যদি শেলফে কাচের দরজা থাকে। এমনটা হলে ধুলোবালি কম পড়ে, আবার বইগুলো বাইরে থেকে দেখাও যায়। কাচের শেলফ না থাকলেও, বই কিন্তু কখনোই দরজা বা জানালার গা ঘেঁষে রাখবেন না। যত পরিচ্ছন্ন ভাবে সাজাবেন, ততই ভাল থাকে বইয়ের বাঁধন। এতে রোদ বা বৃষ্টির ছাট এসে সহজে নষ্ট করে দিতে পারে বইগুলোকে।
বইগুলোকে পোকামাকড় থেকে বাঁচাতে বইয়ের পাতার ভাঁজে নিমপাত বা শুকনো মরিচ রাখতে পারেন। বইয়ে পোকা ধরার ঝুঁকি অনেকটাই কমে। এছাড়াও বইয়ের তাকে মনে করে ন্যাপথলিন রাখুন। ন্যাপথলিনের তীব্র গন্ধে পোকামাকড় আসে না। বইয়ের আলমারিতে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে গন্ধ হয়, ন্যাপথলিন রাখলে গন্ধও কেটে যায়।
অগোছালো করে বই না রেখে, বিষয় অনুযায়ী বইয়ে লেবেল লাগিয়ে গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন। সময় কম থাকলে একেকদিন একেক বিষয়ের বইগুলো পরিষ্কার করুন, যত্ন নিন। এতে বই খুঁজে পাওয়া এবং গুছিয়ে রাখা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এর ফলে বইয়ের তাক দেখতেও ভালো লাগে।