জাতির জনকের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বৃহস্পতিবার সকালে ধানমণ্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি।

সকাল সাড়ে ৬টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

পরে মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলের নেতারা।

প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

এসময় মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাজারো মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

সকাল ৬টার মধ্যেই অগণিত মানুষের পদচারণায় ভরে ওঠে ৩২ নম্বর সড়ক। হাতে কালো ব্যানার ও বুকে কালোব্যাজ ধারণ করে নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ। হালকা বৃষ্টি হলেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে হাজারো মানুষ।

এছাড়াও সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ এবং রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদফতর, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, শিশু একাডেমি, খেলাঘর, বাংলাদেশ বেতার, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, জাতীয় মহিলা সংস্থা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় কবিতা পরিষদ, জাতীয় গীতিকবি পরিষদ, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী তার মা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীসহ ১৫ অগাস্টের শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। তাদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তিনি। এরপর ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন।

বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করতে হবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।”

 

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • শনিবার (সকাল ১০:৫৯)
  • ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com