জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় নোয়াখালী জেলা পরিষদের দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালাহ উদ্দিন আহমেদের আদালত এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- নোয়াখালী জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আফসার হোসেন খন্দকার (বর্তমানে এলজিইডি ময়মনসিংহ সদরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত), জেলা পরিষদ নোয়াখালীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও জেলা পরিষদ নোয়াখালীর ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন।
দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া পরিমাপ বই তৈরি করে সিডিউল ও ডিজাইন মোতাবেক কাজ না করে চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া কলেজ ভবন ও শিবরামপুর-নারায়নপুর সংযোগ সড়ক উন্নয়ন কাজে (২০১৬-১৭ অর্থবছরে) অনিয়ম করে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ গত বছরের ২৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামিরা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিনে মুক্ত হন। বুধবার দুপুরে আসামিরা নোয়াখালী জেলা ও দায়েরা জজ সালাহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত দুই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণ করেন।