মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মা-ছেলে খুনের ঘটনার হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ পারভীনকে খুন করেছে তারই দেবর। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর দেবর সোলাইমান হোসেন (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, দেবর সোলাইমানের সঙ্গে তার ভাবি পারভীনের ৫/৬ বছর ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। এরপর থেকেই ভাবি তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সোলাইমান তার ভাবির রুমে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এ সময় ভাবি তাকে আবারও বিয়ের কথা বলেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোলাইমান বিছানা থেকে নেমে এসে রুমের ভেতরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে প্রথমে ভাবির গলায় আঘাত করেন। পাশে ঘুমিয়ে থাকা ভাতিজা নুর মোহাম্মদ জেগে ওঠলে সোলাইমান তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ভাবি-ভাতিজাকে হত্যার পর সোলাইমান ছুরি ও নিজের রক্তমাখা পোশাক ধুয়ে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
জোড়া খুনের মামলার বাদী সাটুরিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, সোলাইমানকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আটক করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল রাফিন সুলতানার আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামের নিজ বাসা থেকে সৌদি প্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম ও ছয় বছরের শিশু নূর মোহাম্মদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে পারভীনের মা মজিরন বেগম সাটুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।