দীর্ঘ ৮ বছর পর সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবমূখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে সিলেটের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। সিলেটের প্রতিটি অলি-গলি ব্যানার-ফেস্টুনে ছড়িয়ে গেছে। কে আসছেন নতুন নেতৃত্বে এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে জোড়ালো ভাবে। তবে বিশ্বস্তসূত্রে জানিয়েছে বর্তমান কমিটি বহাল থাকতে পারে। আবার একজনকে কমিটিতে রাখা হতে পারে। এমন হলে কপাল খুলে যাবে বর্তমান কমিটির প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক বিসিবি পরিচালক সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শীর্ষ দুই পদে আসতে বেশ কয়েকজন নেতা তাঁদের প্রার্থিতা ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের কর্মী সমর্থকরা নেতার ছবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে শহরের অলিগলিতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে প্রার্থিতা ঘোষণাকারী নেতাদের বায়োডাটা গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা সংগ্রহ করেছে হাই কমান্ড। বায়োডাটা বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুন নেতৃত্ব সিলেট মহানগরকে দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এখন পর্যন্ত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদে আসতে বেশ কয়েকজন নেতা তদবির করছেন। তাঁদের মধ্যে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দীন আহমেদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দীন আহমেদ ও যুগ্ম-সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পাওয়া কামরান এগিয়ে রয়েছেন। তবে আসাদকে কোনদিকে ফেলে আসার সুযোগ নেই। তিনিই সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারেন বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজিত চৌধুরী ও অধ্যাপক জাকিরুল ইসলাম। তবে সবার থেকে এগিয়ে আছেন সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
দলীয় হাইকমান্ড সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের ব্যক্তিই সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ পাবেন। দলীয় সভাপতিই নির্ধারণ করবেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের আগামীর নেতৃত্ব।
সূত্র আরও জানায়, বর্তমান কমিটি অনেকটা বহাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কামরান-আসাদ ফের নেতৃত্ব পাচ্ছেন। আবার কামরানকে যদি দলীয় সভাপতি অন্যভাবে মূল্যায়ন করার ইচ্ছা থাকে সেক্ষেত্রে সভাপতি পদে পদোন্নতি পাবেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদ। আর তাঁর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকবেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। সুনামের সহিত একাধিক দায়িত্ব পালন করে আসার কারণে আসাদ-নাদেল শীর্ষ পদে আসার মূল টার্নিং পয়েন্ট। এছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি নেতৃত্বগুনে আস্থালাভ করতে পেরেছেন। একারণে এগিয়ে রয়েছেন আসাদ-নাদেল। তবে কারা আসছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।