দিনাজপুরে এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরা মংলা প্রাইমারি স্কুলের মাঠ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকসেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও সুন্দরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে রানা (২৪)।
র্যাব জানিয়েছে, মোকসেদুল ইসলাম টুকলু এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ রানা ওরফে রানা ধর্ষণে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার দু’জনকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, র্যাব ২ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে তিনজন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী জ্ঞান হারালে ধর্ষণকারীরা তাকে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। পুকুরে ফেলার পরে জ্ঞান ফিরলে কোনো রকমে ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফিরে মা, খালাসহ পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে পর দিন ওই ছাত্রীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকছেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও অজ্ঞাতনামা আরও ২ জনসহ মোট ৩ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
