দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্কুলে পদায়ন করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫৫০ থেকে ৬৭ হাজার ১০ বেতনক্রমে বেতন পাবেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে বেশিরভাগকে প্রধান শিক্ষক, কয়েকজনকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য ১৮ জুলাই ডিপিসির (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) সভা করা হয়। সভায় সরকারি প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
মাধ্যমিক আরও দুই হাজার পদ শূন্য
মাধ্যমিত ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার শূন্য পদ রয়েছে। এসব শূন্য পূরণে ‘বিশেষ উদ্যোগ’ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব পদে নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাউশি অধিদপ্তর।
মাউধি অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে নতুন ও পুরোনো মিলে মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৫৪টি। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া প্রধান শিক্ষক সমপর্যায়ের পাঁচটি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) পদ শূন্য রয়েছে।
মাধ্যমিক স্কুলগুলোর ৫৩৩টি সহকারী প্রধান শিক্ষকের সবকটি পদই শূন্য। অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে এসব হাই স্কুল পরিচালনা হচ্ছে। এতে নিচের স্তরেও পদ শূন্য হচ্ছে বলে মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
৩৫৪টি সরকারি হাই স্কুল, ৬৪টি ডিইও (জেলা শিক্ষা অফিস) অফিস ও ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের মোট পদ ১১ হাজার ৬১০টি। এর মধ্যে এক হাজার ৯৫২টি পদই শূন্য। সেই হিসাবে সহকারী শিক্ষকের প্রায় ১৭ শতাংশ পদ ফাঁকা রয়েছে।
মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পিএসসির মাধ্যমে ২০১৯ সালে সহকারী শিক্ষক পদে বড় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে আর বড় নিয়োগ দেওয়া যায়নি। এর মধ্যে অনেক শিক্ষক অবসরে চলে গেছেন পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এজন্য এতো সংখ্যক পদ ফাঁকা। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদও পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।