ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর যৌন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ রবিবার (৩১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সিন্ডিকেট। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে একটি কোর্সে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পড়াতেন। সেই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী প্রথমে ফলিত গণিত বিভাগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ আনে। এই বিষয়ে প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেলে বিভাগ থেকে উপাচার্য বরাবর অভিযোগটি আসে। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল তিন সদস্য বিশিষ্ট ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করেন।
এই কমিটির প্রধান হলেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান। বাকি সদস্যরা হলেন- হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান ও কলা অনুষদের সহকারী প্রক্টর ড. সঞ্চিতা গুহা।
এ ছাড়াও সিন্ডিকেট মিটিংয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দাউদ খাঁনের বিরুদ্ধে পিএইচডি থিসিস গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি (প্লেজিয়ারিজম) করার আনিত অভিযোগ তদন্তে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- সিন্ডিকেট সদস্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী।