পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদের তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন এ তথ্য জানান।
খোরসেদা ইয়াসমিন বলেন, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম একই অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক।
খোরসেদা ইয়াসমিন আরও বলেন, গত ১৮ এপ্রিল দুদকে একটি বৈঠক হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদক আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনজীবীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে দুদকের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
এদিকে বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী। রিটে ‘বেনজিরের বাড়িতে আলাদিনের বাতি’ এবং ‘বনজির জমিতে বেনজিরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. রোববার রিট আবেদনকারী হিসেবে সালাহ উদ্দিন রিগন এ রিট দায়ের করেন।
আজ রিট দায়েরের বিষয়ে এ তথ্য জানান আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন প্রথম আলো</em>কে বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে ৪ এপ্রিল দুদকে আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৮ এপ্রিল দুদকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ অবৈধভাবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন, তা আমি বলছি না। তবে প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনগণ মনে করে পুলিশের সাবেক আইজিপি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে দুদক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে প্রতিবেদন দাখিল করে। আইন দুদককে স্বেচ্ছায় অনুসন্ধান চালানোর ক্ষমতা দেয়।’
চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীর আইনজীবী।