ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার লাশ উদ্ধারের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও মৃত্যুর কারণ এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার রাতে টিউশনি সেরে শান্তিবাগের বাসার নিচে গিয়ে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী কেন কানের দুল, আংটি আর মোবাইল ফোন রেখে গিয়েছিলেন, কেন তিনি আবার আধা কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে গিয়েছিলেন, সেসব প্রশ্নের উত্তর না মেলায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
রুম্পার ভাই আশরাফুল আলম বলছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর রুম্পার সাবেক প্রেমিককে নিয়ে সন্দেহের কথা বলেছেন তার সহপাঠী এক বান্ধবী।
এদিকে রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধেশ্বরী শাখার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।
এ সময় যত দ্রুত সম্ভব ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় রুম্পা হত্যার তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের সব শিক্ষক মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে রূম্পা হত্যার সঠিক তদন্ত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট না আসবে; ততদিন পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।
রুবাইয়াত শারমিনকে রুম্পাকে (২০) তার গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার দাফন করা হয়েছে।
গত বুধবার মধ্যরাতে ৬৮ সিদ্ধেশ্বরীর সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এসএম শামীম বলেন, হত্যার সম্ভাবনা মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে অর্ধশত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। কিন্তু হত্যা না আত্মহত্যা- সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।