ভাত এই উপায়ে খেলে বাড়বে না ভুঁড়ি, ঝরবে মেদ!

ওজন কমাতে ভাতকেই দূরে ঠেলে দেন স্বাস্থ্য সচেতনরা। তবে যদি বলা হয় ভাত ক্ষতিকর নয়, বরং আপনি কীভাবে ভাত খাচ্ছেন তার ওপরই বাড়ছে ওজন!

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়ে ডায়েট বাছতে গিয়ে শরীরে ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। ভাত বাদ দিয়ে হয়তো নিরামিশাষী হন অনেকেই! যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই ডায়েট বাছার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া খুব জরুরি।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহ জানান, ভাত একটি নিরীহ খাবার। প্যাকেটজাত সিরিয়ালগুলোর চেয়ে অনেক গুণে ভাল। ভাতকে বলে ‘ফ্রি ফুড’। কারণ এতে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। চর্বি থাকেই না প্রায়। বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে৷ স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না।

বরং ভাতে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। ফাইবারের উপস্থিতিও পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন, সুগার, রক্তচাপ বশে রাখতে যার ভূমিকা আছে। তার মতে,‘ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তা হলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না। মূলত ভাতের গ্লাইকোজেন সহজে গলে না বলেই ভাত এড়িয়ে চলেন অনেকে, নিয়ম মানলে সে ভয়ও কাটে।

দিনে যদি ১৫০ গ্রাম চালের ভাতও খান, তাতেও ৫০০ ক্যালোরির বেশি ঢোকে না শরীরে।  দিনে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ ক্যালোরি খাওয়ার বরাদ্দ থাকলে এর সঙ্গে সালাদ, স্যুপ, কম তেলে রান্না করা ডাল, তরকারি, মাছ বা মাংস, যাই খান না কেন, এক দিকে যেমন সুষম খাবারের হিসেব মেলে কাঁটায় কাঁটায়, অন্য দিকে ক্যালোরি বজায় রাখাও সহজ হয়।

কীভাবে ভাত খেলে জমবে না মেদ, জেনে নিন

১. ভাতের সঙ্গে সমপরিমাণে সালাদ ও সবজি খান। এতে ভাতের গ্লাইকোজেন জমে থাকবে না, সহজে গলার সুযোগ পাবে। তাই লোভে পড়ে অনেকটা ভাত একসঙ্গে নয়। ততটাই ভাত খান, যতটা তরিতরকারি সঙ্গে নিচ্ছেন।

২. ভাতের পরিমাণটা কমান। বরং তার জায়গায় পেট ভরাতে বেশি করে মাছ, মাংস বা উদ্ভিজ্জ্ নানা প্রোটিন খান। ডাল, সব্জির পরিমাণ বাড়িয়েও ভাত খেতে পারেন।

৩. ভাত খেয়ে উঠেই চা-কফি নয়। এতে ভাতের স্টার্চ শরীরে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করে।

৪. ভাত খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। সকাল থেকে তেমন কিছু না খেয়ে নানা কাজের পর দুপুরে পেটে কিছু পড়লেই ঝিঁমুনি আসবে, সে আপনি ভাত হোক বা অন্য কিছু। ভরপেট খেয়ে ঘুমালেই বিপাক হার কমে শরীরে জমে মেদ।

৫. হোল গ্রেন রাইসে বদলে ফেলুন আপনার বাড়ির সাদা চালকে। এর উপকারের প্রমাণ পেয়ে আজকাল তা চাষও হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এক কাপ বাদামি, লাল, কালো বা ওয়াইল্ড রাইস খেলে সারা দিনে যতটা হোল গ্রেন খাওয়ার কথা তার দুই-তৃতীয়াংশই পূরণ হয়ে যায়। বাড়ে না ওজনও।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন