আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে বাংলাদেশ : ইথিওপিয়ান শিক্ষার্থী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১৮ বিদেশি শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একসঙ্গে এতো বিদেশি শিক্ষার্থী বিদায় নেয়নি। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলায় সম্মেলন কক্ষে এ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর হারুন-উর-রশিদ আসকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা একুশ শতকের নাগরিক। সুতরাং সংস্কৃতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে মেশার ক্ষমতা তোমাদের থাকতে হবে। তোমাদের যোগাযোগ দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপানের নাগাসাকি বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার চন্বুক ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রুনাইয়ের সুলতান শরীফ আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্কের চানকিরি কারাটেকিন ও ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশন অফ সায়েন্স অ্যান্ড কালচার, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিটজকার স্কুল অফ ল এর জ্যুরিস্টিক ক্লিনিকের পারস্পরিক শিক্ষা ও গবেষণা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যা ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে।

বিদায়ের অনুভূতি ব্যক্ত করে অর্থনীতি বিভাগের ইথিওপিয়ান শিক্ষার্থী আওয়াল বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই অনেক আন্তরিক। আমরা সর্বত্র সহযোগিতা পেয়েছি। ক্যাম্পাসটা অনেক সুন্দর। আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নাসিম বানু, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হালিমা খাতুন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজিবুল হক, আইআইইআর’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ. মেহের আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স সেলের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শ্রীলংকা, নেপাল, ভারত, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে অধ্যয়ন করছেন।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন