চীনে বেশ কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল ছিল। আক্রান্তের সংখ্যা কমার পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসে। তবে মঙ্গলবার একদিনে ২২ জনের মৃত্যুর মধ্যেও ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাই দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের তীর্থভূমি চীনের হুবেই প্রদেশ পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এরপর থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে দাবি করছে বেইজিং।
এদিকে ইউরোপসহ বিশ্বের ১০৪ টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এছাড়া ভাইরাসটি মোকাবিলায় বিশ্বের সব নেতাদের এক সঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জলবায়ুর মতো করোনাভাইরাস বিশ্বের জন্য বড় সমস্যা। দুটি সমস্যাকে মোকাবিলা করতে হবে। বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
ইরানে মহামারির মতো করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সিঙ্গাপুর, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বে চার হাজার ৩০০ মানুষ করোনায় মারা গেছেন।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে অনবরত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফসহ চিকিৎসকরা ভাইরাসটি মোকাবিলায় নানা কার্যকরি পরামর্শ দিয়েছেন।