ইউরোপ ও আমেরিকার মতো চীনেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ১ নভেম্বর দেশটিতে ২৪ জনের নতুন করে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। সোমবার দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে ৪৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চীনে ব্যাপক হারে পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে জিনজিয়াংয়ে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের ৪৪ জনই বাইরে থেকে আসা। সেখানে পাঁচ জনের স্থানীয় সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঐ পাঁচ জন জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিম এলাকায়। ৪৪ জন বিদেশি রোগীর মধ্যে চার জন ভারতের নয়াদিল্লি থেকে উহানে এসেছেন। ভারত বর্তমানে করোনা শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ৭ আগস্টের পর থেকে উহান শহরে এটাই প্রথম বাইরে থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগী আসার ঘটনা।
চীনের স্বাস্থ্য কমিশন ৬১ জনকে উপসর্গহীন নতুন রোগী হিসেবে শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ১৯ জন একই ফ্লাইটে ভারতের নয়াদিল্লি থেকে উহানে যান। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই উহান শহর থেকেই করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। জিনজিয়াং প্রদেশে নতুন করে ১৩ জন স্থানীয় উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঐ অঞ্চলে এখন ব্যাপক করোনা পরীক্ষা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। জিনজিয়াংয়ের কাশগার ও আকটো কাউন্টিতে তৃতীয় ধাপের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে। চীনে উপসর্গহীন রোগীদের কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে চূড়ান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয় না। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত চীনে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯১ হাজার ৪৫২। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ৪ হাজার ৭৩৯ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ হাজার ১৮৯ জন।