প্রথম ধাপের ফল ৩১ ডিসেম্বর সোয়া ১৩ লাখ কলেজ ভর্তিচ্ছুর ৭০ লাখের বেশি আবেদন

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে প্রথম ধাপে সোয়া ১৩ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। তারা বিভিন্ন কলেজের ৭০ লাখ ২০ হাজারের বেশি আসন পছন্দ দিয়েছেন।

অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd)  গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদনের সময় শেষ হয়।

এবার অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেয়া হয়নি। ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দিতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা। তাই আবেদনের সংখ্যা এত বেশি।  একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৩২৮ টাকা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে।

জানা গেছে, আগামী ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের আবেদন যাচাই বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। পুনঃনিরীক্ষার ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ হবে ২৬ ডিসেম্বর। একই দিন আবেদন করা শিক্ষার্থীরা পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় পাবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা নিশ্চায়ন না করলে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে।

৯ ও ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জানুয়ারি। একই দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি।

তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৬ জানুয়ারি। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জানুয়ারি। একইদিনে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১৯ ও ২০ জানুয়ারি।

আগামী ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি চলবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

এবার কলেজ ভর্তিতে ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে ও এসব আসনে ভর্তির জন্য মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন। মোট আসনের ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সন্তানদের সন্তানের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সন্তানদের সন্তান শনাক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া সনদপত্র দাখিল করতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আজকের দিন-তারিখ
  • রবিবার (ভোর ৫:৪৪)
  • ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
  • ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com