গত এক বছরে বগুড়া জেলায় বেড়েছে নারী-শিশু নির্যাতনসহ হত্যা ও নানা অপরাধের মাত্রা। স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগারিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা কমে যাওয়ায় বেড়েছে অপরাধের সংখ্যা। যদিও এমন কথার বিপরীত বক্তব্য প্রশাসনের। পুলিশের দাবি, আগের চেয়ে বেড়েছে নজরদারি, কমেছে অপরাধ।
গত বছরের ৫ অক্টোবর বগুড়ার সদরের প্রতিবন্ধি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আব্দুর রহিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মাসে ধুনট উপজেলায় ৫৫ বছরের বৃদ্ধ জয়নাল একসাথে চারটি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন।
এছাড়া গত বছর পরিবহন সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন। আর পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে সহপাঠিদের হাতে নিহত হন কলেজ ছাত্র নাজিউর রহমান নাহিদ।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর বগুড়ায় বেড়েছে ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ।
বগুড়া নারী ও শিশু বিকাশকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নিভা রানি সরকার বলেন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা কমায় অপরাধের মাত্রা বেড়েছে।
বগুড়া সম্মিলিত নাগরিক জোটের সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে নারী-শিশু নির্যাতনসহ হত্যা এবং নানা ধরণের অপরাধের মাত্রা কমে আসতো।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, অপরাধ ও অপরাধী সনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট তৎপরতা রয়েছে। যার ফলে জেলার অপরাধ প্রবণতা অনেকখানি কমেছে বলে জানান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
জেলাজুড়ে ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে নিয়মিতই হচ্ছে মামলা। যেখানে গ্রেপ্তার আছে ৮ হাজার ৬৮৭ জন আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে ২৪ হাজারেরও বেশির বিরুদ্ধে।– চ্যানেল 24