পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ফের অশান্তির ঝড়। পাক অধিকৃত গিলগিত-বালতিস্তান নিয়ে নতুন করে শুরু হল বিতর্ক। ভারতের শত বিরোধিতা, ঘরে বাইরে প্রতিবাদ সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিত-বালতিস্তানকে রোববার বিশেষ প্রদেশের মর্যাদা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, পাক সেনা ও চীনের চাপেই এমন সিদ্ধান্ত ইমরান খানের সরকারের।৷
আগেই জানা গিয়েছিল নিজেদের দখলে রাখা গিলগিত-বালতিস্তানকে বিশেষ প্রদেশের মর্যাদা দিতে চলেছে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির কানে খবর পৌঁছাতেই এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী। কিন্তু তাতে যে ইসলামাবাদ কর্ণপাতের প্রয়োজনীয়তা বিন্দুমাত্র অনুভব করেনি তা আজকের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।
রোববার পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখন্ড গিলগিত-বালতিস্তানকে নয়া প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করল পাকিস্তান। সেই সিদ্ধান্তের ঘোষণায় এদিন গিলগিত-বালতিস্তানে গিয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নদী বাঁধের মতো একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ইমরান খান। উদ্বোধনের অনুষ্ঠান মঞ্চে পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে ভারতবিরোধী কথা শোনা গিয়েছে।
দেশের পঞ্চম প্রদেশ হিসাবে ভারতীয় ভূখণ্ড গিলগিত-বালতিস্তানকে ঘোষণা করার খবরে প্রতিবাদ কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় বিদেশ মন্ত্রী। ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এ প্রসঙ্গে জানান, চুক্তি ভঙ্গ করেছে পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী গিলগিত-বালতিস্তান ভারতের জন্মু ও কাশ্মীরের অংশ এবং এই চুক্তিতে এও স্পষ্ট করা হয়েছে জোর করে দখল করা এই এলাকার কোনও পরিবর্তনই করার কোনও অধিকার নেই।
বিদেশ মন্ত্রীর মুখপাত্রের মতে, ‘কিভাবে ৭০ বছর ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে পাকিস্তান এবার দেখুক পুরো বিশ্ব ৷’
গিলগিত-বালতিস্তানকে ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও চুক্তি ভেঙে প্রদেশ করার সিদ্ধান্তে আরও একবার প্রমাণিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আসলে পাক সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ওই অঞ্চলে চীনের বেশ কিছু খনি রয়েছে। অতএব এই সিদ্ধান্তের পিছনে চীনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।